গর্ভাবস্থায় কেন বমি হয়?
গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণঃ
১। গর্ভবতী অবস্থা প্রায় প্রতিটি মহিলার জীবনে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসে। কিছু কিছু উপসর্গও এমনও আছে, যা গর্ভাবস্থায় দৈনন্দিন জীবনে নানান বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তার ভেতর সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা বা উপসর্গ হল মর্নিং সিকনেস বা বমি বমি ভাব হওয়া। যদিও এটা ঠিক মর্নিং সিকনেস নয়। দিনের যে কোনও সময়ই এই বমি বমি ভাব হতে পারে।
২। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতীর শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। এমন কিছু হরমোন রয়েছে যা এই সময় অনেক বেড়ে যায়, যার কারণে এই বমি বমি ভাবের সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব একটি সাধারণ ঘটনা। সাধারণত প্রথম তিন মাসে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়, এবং সময়ের সাথে তা ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে সব মহিলাদের ক্ষেত্রে তা নাও হতে পারে।
৩। গর্ভাবস্থার প্রথম লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হলো মর্নিং সিকনেস বা বমি বমি ভাব। সাধারণত এটি গর্ভাবস্থার তিন মাসের মধ্যেই চলে যায়। বেশিরভাগ মহিলা প্রায় ৬ সপ্তাহ বমি বমি ভাব এবং বমির সমস্যাতে ভোগেন। সাধারণত ১২ সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যাটি দূর হয়ে যায়। তবে কিছু মহিলার ক্ষেত্রে এই সমস্যা গুরুতর হয়ে দাঁড়ায়।
৪। তবে এই মর্নিং সিকনেসকে কমানোর জন্য বেশি চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। এই মর্নিং সিকনেসের সমস্যা প্রায় ৫০ শতাংশ গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যেই হয়ে থাকে। তবে যদি এই সমস্যা ডিহাইড্রেশন বা ওজন কমানোর মত সমস্যা তৈরি করে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৫। এই উপসর্গগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস বিশ্রামের প্রয়োজন। তার সঙ্গে প্রয়োজন সঠিক ডায়েট। এই সময় অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, ক্যাফেইন যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে বেশি বেশি শাক সবজি ও ফল খান। প্রচুর পরিমাণে জল আর ফলের রস পান করুন। সকালে আদা দিয়ে চা পান করতে পারেন। আদা বমি কমানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী।