ঘন ঘন বমি হওয়ার কারণ…
প্রথমে জানা যাক ভমিটিং কি? আমরা বিভিন্ন সময়ে খাবার খেয়ে থাকি। এই খাবার সাধারণত মুখগহ্বর হতে খাদ্যনালী হয়ে পাকস্থলিতে প্রবেশ করে। অনেক সময় নানা কারণে পাকস্থলির এই খাবার উদ্গীরণ হয়ে মুখ দিয়ে বের হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াকে আমরা বলি ভমিটিং বা বমি।
বমিকে আমরা অনেকেই রোগ হিসেবে ধারণা করি। আসলে বমি কোনো রোগ নয়। শরীরের বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি বা সমস্যার কারণে বমি হতে পারে। সাধারণত বমি কোনো উদ্বেগজনক শারীরিক সমস্যা নয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে যদি ভমিটিং অব্যাহতভাবে হতে থাকে এবং প্রাথমিক চিকিৎসায় যদি বমি বন্ধ না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শে নিতে হবে। সাধারণ যেসব কারণে বমি হতে পারে তা হচ্ছেঃ:ফুড পয়জনিং, ইনডাইজেশন বা হজমে সমস্যা, ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত ইনফেকশন, মোশন সিকনেস বা যানবাহনে চলাচলের সময় বমি, মাইগ্রেনজনিত মাথা ব্যথা, অতিরিক্ত ওষুধ সেবন, অতিরিক্ত মদ্যপান, অতিরিক্ত আহার, লিভারের সমস্যা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ভীতি, ফুড এলার্জি, পেটের আলসার, পেটে প্রদাহ বা গ্যাস্ট্রাইটিস, তীব্র বা ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত পদার্থের ঘ্রান নাকে প্রবেশ করা, ইত্যাদি। কিছু শারীরিক সমস্যার কারণেও বমি হতে পারে। এছাড়াও বয়স ও অন্য কারণেও বমি হতে পারে। যেমন :শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের বমি হওয়া ইত্যাদি।
যদি বমি বমি ভাব বা বমি হয় তবে ঔষধ ছাড়াও কিছু ব্যবস্থা নিতে পারেন। কয়েক বার লম্বা শ্বাস নিন, এক টুকরো আদা মুখে নিয়ে চিবুতে পারেন। যানবাহনে চলাচলে বমির প্রবণতা থাকলে যানবাহনে ওঠার পূর্বে বমি কমানোর ওষুধ সেবন করে নিতে পারেন। খাবারের সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করবেন না। তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত ফুডপয়জনিং থেকে বমি হলে অনেক ক্ষেত্রে বমির ঔষধের পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন হতে পারে।
খাবারের আধাঘন্টা আগে বমি কমানোর ঔষধ খেতে হবে অন্তত তিন থেকে সাত দিন। তারপরও যদি বমি না কমে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বারবার বমি হলে শরীর থেকে পানি ও খনিজ পদার্থ বের হয়ে যায়। তাই এক্ষেত্রে খাবার স্যালাইন বা ওআরএস পানিতে মিশিয়ে পান করুন।