পাসপোর্ট ফি 2022…
ই পাসপোর্ট বাংলাদেশের পাসপোর্ট সেবার জগতে নতুন একটি সংযোজন। পুর্বে যেসব পাসপোর্ট ইস্যু করা হতো সেগুলো ছিল এম.আর. পি। এম.আর.পি এর পূর্ণরূপ হলো মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট। কিন্তু এই পাসপোর্ট এ সুরক্ষার দিক থেকে কিছু ঘাটতি ছিলো। তাই বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে ই পাসপোর্ট সেবা চালু করে।
বাংলাদেশ সরকার দেশের সকল মানুষের জন্য পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত ও সহজ করার লক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস স্থাপন করেছে। এখন সকল জেলা পাসপোর্ট অফিসেই ই পাসপোর্ট সেবা পাওয়া যায়। ই পাসপোর্ট এর ফি ও রাখা হয়েছে আগের এম. আর. পি পাসপোর্ট এর মতই।
পাসপোর্ট পেতে হলে প্রথমেই আবেদনকারীকে ই পাসপোর্টের আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করে তা পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম যেকোন পাসপোর্ট অফিস অথবা অনলাইনে পাওয়া যাবে। ফরম পূরণ করে তারপর নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। টাকার পরিমাণ নির্ধারিত হবে পাসপোর্ট এর পাতার সংখ্যা, মেয়াদ ও ডেলিভারির ওপর। ই পাসপোর্টের ফি এর পরিমাণ ৪,০০০ টাকা থেকে প্রায় ১৪,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ক) ৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতার ই পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে নিম্নরূপ ফি প্রদান করতে হবেঃ
১। নিয়মিত ফি ৪,০২৫ টাকা। ২। জরুরী ফি ৬,৩২৫ টাকা। ৩। অতি জরুরী ফি ৮,৬২৫ টাকা।
খ) ৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতার ই পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে নিম্নরূপ ফি প্রদান করতে হবেঃ
১। নিয়মিত ফি ৬,৩২৫ টাকা, ২। জরুরী ফি ৮,৩২৫ টাকা, ৩। অতি জরুরী ফি ১২,০৭৫ টাকা।
গ) ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতার ই পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে নিম্নরূপ ফি প্রদান করতে হবেঃ
১। নিয়মিত ফি ৫,৭৫০ টাকা, ২। জরুরী ফি ৮,০৫০ টাকা, ৩। অতি জরুরী ফি ১০,৩৫০ টাকা।
ঘ) ১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পাতার ই পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে নিম্নরূপ ফি প্রদান করতে হবেঃ
১। নিয়মিত ফি ৮,০৫০ টাকা, ২। জরুরী ফি ১০,৩৫০ টাকা। ৩। অতি জরুরী ফি ১৩,৮০০ টাকা।
পাসপোর্ট এর ফি সাধারণত খুব একটা পরিবর্তন করা হয় না। ফি এর টাকার পরিমাণ পাসপোর্ট এর আবেদন এর ওয়েবসাইটেও দেয়া আছে। পাসপোর্ট এর আবেদন করতে এই ফি এর বাইরে আর কোন বাড়তি টাকার প্রয়োজন নেই।